ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

হামলা, মামলা ও হুমকি ধমকি দিলে আ’লীগ বসে থাকবে না -বারবাকিয়ায় বক্তারা

পেকুয়া প্রতিনিধি :: পেকুয়ায় বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের বর্ধিত সভায় বক্তারা বলেছেন, আ’লীগের বিরুদ্ধে দমন পীড়ন বন্ধ করুন। হামলা, মামলা ও হুমকি ধমকি দিয়ে আমাদের রাজনীতিকে দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির স্বশস্ত্র ক্যাডাররা সে দিন বারবাকিয়া বাজারে এসে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের উপর নিষ্টুর ও বর্বর হামলা চালায়। ভাড়াটে সন্ত্রাসী এনে একজন জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ নেতাকে তুলে নিতে চেয়েছিল। এরপর বিএনপি-জামায়াতের স্বশস্ত্র ক্যাডাররা প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারালো অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে হামলা শুরু করে। হামলায় ক্ষমতাসীন দলের ৫/৬ জন নেতা-কর্মী জখম হয়েছে। এরা কয়েকজন এখনো চিকিৎসাধীন আছে। লড়ছে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা। কিন্তু হামলাকারীরা মামলা দিয়েছে উল্টো। ওই মামলায় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমসহ জখমীদেরও আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী জাফর মেম্বার উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। জোট সরকারের সময় তার অত্যাচার নির্যাতনে বারবাকিয়ায় আ’লীগ ছিল অসহায়। সে সময় জাফর মেম্বারের অত্যাচারে অনেক আ’লীগ নেতা কর্মী এলাকা ও বাড়িছাড়া ছিল। ওই ব্যক্তির ছেলেরা দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তারা সে দিন চকরিয়া থেকে ভাড়াটে মাস্তান এনেছিল বারবাকিয়ায়। মরিচের গুড়া ছিটিয়ে আ’লীগ নেতা-কর্মীদের উপর এ হামলা চালায়। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাকে আহবান করছি সে দিনের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হউক। সেই জড়িত বিএনপি-জামায়াতের স্বশস্ত্র ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ফৌজধারী মামলা রেকর্ড করা হউক। জাহাঙ্গীর মেম্বারসহ মিথ্যা মামলায় যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এদেরকে দায়ী মুক্তি দেয়া হউক। অন্যথায় আ’লীগের নেতা-কর্মীরা আর ঘরে বসে থাকবেনা। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে এর কঠিন জবাব দেওয়া হবে। মনে রাখবেন আ’লীগ ন্যায় নীতি ও আইনকে শ্রদ্ধা করে বলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেনি। সে াদিন মানববন্ধনের নামে জামায়াত শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের বারবাকিয়া বাজারে জড়ো করে সরকার ও রাজনৈতিক দল আ’লীগ সম্পর্কে অযাচিত উদীয়মান নেতা এডভোকেট ওসমানকে বাজারে আক্রমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। হুশিয়ার দিচ্ছি আ’লীগের নেতা-কর্মীদের গায়ের পশমও যদি আঘাত করা হয় তাহলে আমরা এর কঠিন সমুচিত জবাব দেব। আমরা শেষ হয়ে যায়নি। ৯ আগষ্ট (রবিবার) বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ এক বর্ধিত সভা বআহবান করে। ওই দিন বিকেলে হুসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ওই বর্ধিত সভাটি বিশাল প্রতিবাদ সভায় রুপান্তর হয়। মূলত সভাটি বারবাকিয়া আ’লীগের থাকলেও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন শিলখালীসহ উপজেলার প্রত্যন্ত প্রান্ত থেকে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে জড়ো হন। জাহাঙ্গীর মেম্বারের প্রতি সমর্থন ও সহমত পোষন করতে তারা হুসনে আরা বালিকা বিদ্যালয়ের বর্ধিত সভায় সমবেত হন। এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আি’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম। বারবাকিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি আবুল হোসাইন শামা ও শিলখালী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সিম্পাদক মোহাম্মদ বাহাদুর মিয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন শিলখালী ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেচী, উপজেলা আ’লীগ নেতা বশির আহমদ, সদর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি এম,আজম খান, উপজেলা বযুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, শ্রমিকলীগ .সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোছাইন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলাম, বারবাকিয়ার সাধারন সম্পাদক কামাল হোসাইন, ওয়ার্ড আ’লীগ সাধারন সম্পাদক মইদুর রহমান প্রমূখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগ নেতা কাজীউল ইনসান, রাজাখালীর চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এম,ওসমান গণি, উজানটিয়ার সাধারন সম্পাদক শাহজামাল, শিলখালীর সাধারন সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, প্রবীন আ’লীগ নেতা আহমদ হোছাইন, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আবুল হোছাইন, হারুনুর রশিদ বাদশাহ, যুবলীগ সহসভাপতি মোহাম্মদ হোছাইন, শ্রমিকলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা আবু ছৈয়দ টুকু, ্মহিউদ্দিন, সিরাজুল মোস্তফা, মহিউদ্দিন, ফিরোজ আহমদ, মোজাম্মেল প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: